ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণ করে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উন্নীত করার লক্ষ্যে বীজ শিল্প ও প্রযুক্তিতে গতিশীলতা আনয়নসহ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থাকে বিকশিত করার ক্ষেত্রে বীজ প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ষির উন্নয়নে বীজই অন্যতম মুখ্য উপকরণ। বীজ ভালো না হলে অন্যান্য উপকরণের ব্যবহার ফলপ্রসূ হয় না, কখনও কখনও একেবারেই অপচয় হয়। এটা পরীক্ষিত যে, মানসম্পন্ন বীজ ব্যবহারে শতকরা ১৫-২০ ভাগ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে না জমি। মানুষের খাদ্য চাহিদা ক্রমাগত বেড়েই চলছে, বর্ধিত জনসংখ্যার স্থিতিশীল খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা বর্তমান সময়ে কৃষির মূল চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬০.৭৫ মিলিয়ন, ধারণা করা হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে তা বেড়ে গিয়ে হবে ১৭০ মিলিয়ন। এমতাবস্থায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫-৬ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হলে দরকার বীজ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ।বীজ প্রযুক্তির কার্যাবলি : একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধারণত ধাপে ধাপে এগুতে হয়। ফসল উৎপাদনে ভালো বীজ ব্যবহারের জন্যও এমনি ধাপে ধাপে কিছু কাজ করতে হয়।বর্তমানে সরকার বেসরকারি সেক্টরকে সব ফসলের বীজ গবেষণার সুযোগ দিয়ে বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী ‘বীজ আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। উদ্ভিদের জাত সুরক্ষা ও জাতের অধিকার প্রদানের জন্য উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইন-২০১৯ প্রণয়ন করেছে। বীজ আমদানি-রপ্তানি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য ‘উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ আইন-২০১১ ও বিধি-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশে-বিদেশে প্রতিযোগিতামূলক একটি যুগোপযোগী বীজ নীতি-২০১৯ প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী কয়েক বছরে আইনগুলোর সফল বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বীজ শিল্প এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একটি স্থায়ী অবস্থান অর্জন করবে।
