আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে। রঙ করা হয়েছে মূল বেদিসহ সংলগ্ন এলাকা। রাস্তার পাশের দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা গান, কবিতা ও স্লোগান। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসটি উদযাপনের জন্য বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট ও মাস্ক পরাসহ বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী একুশের প্রথম প্রহরে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীমূল প্রস্তুত করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে প্রতিটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ জন প্রতিনিধি আসতে পারবে। ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুই জন আসতে পারবে।’ পরিস্থিতি বিবেচনায় সবার এ নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, অমর একুশে উদযাপনের প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী আল্পনা আঁকার কাজ করছেন।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় ৩ ফুট পর পর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকরা হ্যান্ডমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রচার চালাবেন।
সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। টুকিটাকি কাজ বাকি আছে। দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যে দাগ দিতে হবে সেটা আমরা এখন দিতে পারব না। কারণ এর জন্য রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ করতে হবে। তাই এটা শনিবার বিকেল ৫টার দিকে করা হবে।’
নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমাদের প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। করোনার কারণে এবার জনসমাগম বেশি হবে না বলে মনে হয়। তারপরও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক, রোভার স্কাউট থাকবেন। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ল-ইনফোর্সমেন্ট এজেন্সি থাকবে।’