ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে সোমবার রাত ও মঙ্গলবার দিনভর চলা তাণ্ডব ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনায় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত সদর মডেল থানা ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৪ হাজার লোককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এছাড়াও মাদরাসা ছাত্র নিহত হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো হত্যা মামলা করা হয়নি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরের ছাত্রলীগ, পুলিশ ও মাদরাসা ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, জেলা সদর হাসপাতাল, মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে অবস্থিত একটি বেসরকারি ব্যাংক, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরের ৫টি প্রতিষ্ঠান, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন ও প্রশিকার একটি কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
এসব বিষয়ে সদর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রানা নুরুস শামস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮শ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক চমন সিকান্দার জুলকার নাঈন অজ্ঞাতনামা ৯ থেকে ৯শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রশিকার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় ম্যানেজার হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। হালদারপাড়া এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যবসায়ী ফেরদৌস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনের সম্পাদক বাছির দুলাল বাদী হয়ে ৮ থেকে ৯শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান বাদী হয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১২শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ৬টি মামলায় প্রায় ৪ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এসব মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও মাদরাসা ছাত্র মাসুদুর রহমান নিহত হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো হত্যা মামলা দায়ের করা হয়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মাদরাসাছাত্র নিহত হওয়ার বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখনো কেউ আমাদের কাছে জমা দেয়নি।