প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবো। এ ক্ষেত্রে সবার আন্তরিক সহযোগিতা চাই। আমি বিশ্বাস করি, সবাই মিলে সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো, ইনশাল্লাহ।
রোববার সচিবালয়ে দায়িত্বের প্রথম দিন অফিস করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ধর্ম-প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৪ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিমন্ত্রীর শপথ নেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ফরিদুল হক। রোববার তার প্রথম অফিস।
ভাস্কর্য সরানোর জন্য হেফাজতে ইসলামের দাবির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস বুঝতে হবে-কিছু কিছু লোক কোনো কোনো সময় শুধু বাংলাদেশে নয়; সারা বিশ্বে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কিছু অঘটন ঘটায়। যখন কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন সমাধানেরও একটা ব্যবস্থা হয়। এ মন্ত্রণালয়ে আমি নতুন, আমি এ বিষয়গুলো চিন্তা করব, ভাবব এবং পরামর্শ করবÑকীভাবে এটা করলে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে এবং সার্বিক দিক থেকে আর যেন কেউ পরবর্তীতে সুযোগ না পায় সেগুলো আমাদের চিন্তায় রাখতে হবে। আমি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে যান, ভারতে যান; সারাবিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রে যান না কেন সব জায়গাতেই ভাস্কর্য আছে। ভাস্কর্য যদি মূর্তি হয় তাহলে টাকার ভেতরে বঙ্গবন্ধুর ছবি আছে, এর আগে যারা ছিলেন তাদের ছবি ছিল, সেগুলো কীভাবে থাকলো। সেগুলো পকেটে নিয়ে তো সবাই ঘুরে বেড়ায়। কয়েনের মধ্যেও আছে, সারা বিশ্বে যে কোনো দেশে যান দেখেন কয়েনে ছবি আছে। এগুলো আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। আমি মিশরে গিয়েছি সেখানে দেখেছি। সৌদি আরবে যান সেখানেও আছে। তাহলে সেটা যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশে আজকে যারা এটা নিয়ে আলোচনা করছে তাদেরও একটু চিন্তা করতে হবে।
ফরিদুল হক খান বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্য দিয়েছেন। অতএব আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন, আমরা এগুলোর একটা সমাধানের জন্য যে ধরনের কাজ করা প্রয়োজন সেটা আলোচনা সাপেক্ষে করব ইনশাল্লাহ।
